Header Ads

লাশের পাহারাদার

হঠাৎ করেই আবিস্কার করলাম, আমার পাশে কেউ শুয়ে আছে। তার হাত পা একেবারে ঠান্ডা।
এরকম পরিস্থিতির মধ্যে পরতে হবে তা কোনদিন ভাবিনি। এই লাস কিভাবে আসলো। এখন কি করবো।
একটু কবিরাজকে খবর দি; না ডাক্তারকে ডাক দি; নাহ পুলিশ ডাকতে হবে।
এরপরেই বাইরে থেকে দরজায় কে যেন টকটক করছে। দরজা খুলতেই আরো একজন আমার সামনে ধপাস করে পরলো।
সামনে কিছু আছে কিনা দেখার সময় টুকু পাইনি। ভাই আপনার কি হয়েছে বলেই তার শরীরে হাত দিলাম।একি ইনার হাত পাও ঠান্ডা।
এইবার তো আমার হাত পা কেঁপে উঠেছে, আমি চিৎকার করছি, কেউ আছেন আমাকে বাঁচান, আমাকে বাঁচান। পোশাক ঘামে ভিজে গেছে।
ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো।
আরো একটি লাশ নিয়ে আসছে। কত বছর হয়ে গেলো, কতগুলো লাশ জমা হয়েছে, কেউ এই লাশ গুলোর দাবী নিয়ে আসে না।
মানুষ যতদিন জীবিত থাকে তার পাশে মানুষজনের অভাব থাকে না। অথচ সে মারা গেলে, সবার স্বার্থ শেষ হয়ে যায়। লাশ নিয়ে দাফন করার মতো কারো খোঁজ মিলে না।
যার পাশে কেউ নাই, আমি তার পাশে আছি, অথচো এই পাশে থাকাটা তার জীবনের অংশ না। আমার পাশে থাকাটা তার জন্য কোন অর্থ বহন করে না।
মাঝে মাঝে মনের মধ্যে প্রশ্ন জাগে, লাশের পাহারা দেওয়া; এটাও একটা কাজ হতে পারে। যে কাজের জন্য আমাকে বেতন দেয়াও হয়। জানিনা কোন একদিন হয়তো এই লাশের মিছিলে আমার লাশটারও ঠাঁই হবে। এই কাজ থেকে বিরতি দরকার। প্রতিটি লাশ দাফনে যাদের কর্তব্য রয়েছে; তারা তাদের কর্তব্য পালন করলেই আমার ছুটি মিলে।



No comments

Theme images by Roofoo. Powered by Blogger.