Header Ads

আধুনিকতার লেবাস পড়তে গিয়ে আমরা নিজেদেরকে উলঙ্গ করে ফেলেছি

জলিল কাকার মতে, আমরা সেই আদিম যুগে ফিরে যাচ্ছি। তিনি বলেন, আমাদের পূর্ব পুরুষরা অনেক কম কাপড় পড়তো ,এখন সেটাই দেখা যাচ্ছে । অনেক আবাল বুদ্ধিজীবীকে তো এমন মতামত দিতে শোনা যায়, যাদের মতে কেউ যদি চায় কাপড় না পরার স্বাধীনতাও নাকি রয়েছে।

কাকা একটুই থেমে আবার বলতে লাগলো- তোদের জেনারেশন মনে করে পর্দা নাকি উত্তরাধিকার সূত্রে পাওয়া একটা অভ্যাস; এটা ইসলামের প্রাথমিক যুগের জন্য ঠিক ছিলো বর্তমান যুগে পর্দার কোন প্রয়োজন নাই।

অথচো আল্লাহ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন-

মুমিন পুরুষদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে; এটাই তাদের জন্য অধিক পবিত্র। তারা যা করে নিশ্চয় আল্লাহ্‌ সে বিষয়ে সম্যক অবহিত।(সুরা আন নুরঃ ৩০)

পরের আয়াতে আল্লাহ তায়ালা বলেন-

আর মুমিন নারীদেরকে বলুন, তারা যেন তাদের দৃষ্টিকে সংযত করে [১] এবং তাদের লজ্জাস্থানের হেফাযত করে [২]; আর তারা যেন তাদের সৌন্দর্য প্রদর্শন না করে [৩] তবে যা সাধারণত প্রকাশ হয়ে থাকে [৪]। আর তারা তাদের গলা ও বুক যেন মাথার কাপড় দ্বারা ঢেকে রাখে [৫]। আর তারা যেন তাদের স্বামী, পিতা, শ্বশুর, পুত্র, স্বামীর পুত্র, ভাই, ভাইয়ের ছেলে, বোনের ছেলে, আপন নারীরা [৬], তাদের মালিকানাধীন দাসী, পুরুষদের মধ্যে যৌন কামনা- রহিত পুরুষ [৭] এবং নারীদের গোপন অঙ্গ সম্বন্ধে অজ্ঞ বালক [৮] ছাড়া কারো কাছে তাদের সৌন্দর্য প্রকাশ না করে, তারা যেন তাদের গোপন সৌন্দর্য প্রকাশের উদ্দেশ্যে সজোরে পদচারণা না করে [৯]। হে মুমিনগণ! তোমরা সবাই আল্লাহ্‌র দিকে ফিরে আস [১০], যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার।’(সুরা আন নুরঃ ৩১)

তোরা আদিম যুগের মানুষ বলতেই খ্যাত বলিস; তুই কি জানিস ইসলামের আলো আসার আরো আগে মানুষের কাপড় ছিলো না; তখন তারা কাপড় পড়তো না। তোরা কোনকিছুই ঠিক মতো জানিস না। অথচো ভাব নিস সবকিছুই জানিস। আদিম যুগের গল্প না করে তোরা ইসলামের বিধি-নিষেধ মানতে চাস না এটা বললেই পারিস।

তবে মনে রাখবি আল্লাহর আদেশ অমান্য করলে রয়েছে কঠিন শাস্তি। আল্লাহ তায়ালা ইরশাদ করেন-

এতে কোন সন্দেহ নেই যে, যারাই আমার আয়াত সমূহকে অবজ্ঞা করবে, আমি তাদেরকে জাহান্নামের আগুনে নিক্ষেপ করব। তাদের চামড়াগুলো যখন জ্বলে-পুড়ে যাবে, তখন আমি সেখানে নতুন চামড়া দিব, যাতে তারা আজাব পূর্ণভাবে আস্বাদন করতে থাকে। নিশ্চয়ই আল্লাহ মহাপরাক্রমশালী, মহাজ্ঞানী।’ (সূরা আন নিসাঃ ৫৬)

কাকা এইবার বিরক্ত হয়ে বললো, তোরা হইতেছিস এক নাম্বারের খ্যাত তোরা কাপড় থাকতেও আদিম সময়ের কাপড়হীন মানুষদের ট্রেডিসন অনুযায়ী জীবন যাপন করছিস। সে সময় কাপড়ের ব্যবস্থা ছিলো সামান্য, যে কারণে তারা কাপড় পরিধান করতো সামান্য । আর এখন যা দেখছি, তা দেখার পর তোদের সবাইকে বুদ্ধিহীন গাধার মতোই মনে হয়।

জলিল কাকাকে কিছু বলতে তো পারলাম না, বরং নিজ প্রজন্মকে সত্যই খ্যাত মনে হচ্ছে।

No comments

Theme images by Roofoo. Powered by Blogger.