আমার দেশের শপথ বাক্য
আমাদের জন্মের পরে মানুষ হিসেবে গড় তুলতে পিতার অবদান কতটা গুরুত্ব রাখে তা বলে বুঝানো সম্ভব না। হৃদয়ের বৃহত্ জায়গা জুড়ে থাকে জন্মদাতা পিতার অস্তিত্ব।তাই আমরা পিতার জন্য যতটুকু সম্ভব করার চেষ্টা করি রোজ।
কিন্তু আমাদের দেশের সাবেক অবৈধ প্রধানমন্ত্রী হাসিনা তার পিতার জন্য যা করেছে, সেটাকে বাড়াবাড়ি বলার সুযোগ নেই। এটাকে অন্ধভক্তি হিসেবেও সঙ্গায়িত করা যায় না। এক হিংস্র রুপ ধারণ করে সে তার পিতাকে জাতির কাছে উপস্থাপন করেছিল।
সে তার পিতার জন্য কি করেনি, দেশের প্রত্যেক মানুষের মনের মধ্যে তার পিতার অস্তিত্বের অবস্থান পাকাপোক্ত করানোর জন্য সকল চেষ্টা করেছে।স্কুলের কমলমতি বাচ্চা গুলোকে শেখ মুজিবের সম্পর্কে যে জ্ঞান প্রদান করা হয়েছে তার সবই ছিলো বানানো গল্প। শেখ মুজিবকে নিয়ে যে ভিউ তাদের সামনে তুলে ধরা হয়েছে;সেটাকে জ্ঞান-সন্ত্রাস না বলার উপায় নাই।বইয়ের মধ্যে তো তার গল্প পড়ানো হয়েছেই; এই গল্প পড়িয়েই হাসিনা ক্ষ্যান্ত হয়নি।হাসিনা অবুঝ শিশুদেরকেউ ছাড় দেয় নি। অবুঝ বাচ্চারা সকাল বেলা স্কুলে গিয়েই শপথের নামে শেখ মুজিবের গুনকীর্তন করেছে না বুঝে।
একটা দেশের শপথ বাক্যে এমন হতে পারে-
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে পাকিস্তানি শাসকদের শোষণ ও বঞ্চনার বিরুদ্ধে এক রক্তক্ষয়ী মুক্তিসংগ্রামের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করেছে। বিশ্বের বুকে বাঙালি জাতি প্রতিষ্ঠা করেছে তার স্বতন্ত্র জাতিসত্তা। আমি দৃপ্তকণ্ঠে শপথ করছি যে, শহিদদের রক্ত বৃথা যেতে দেব না। দেশকে ভালোবাসব, দেশের মানুষের সার্বিক কল্যাণে সর্বশক্তি নিয়োগ করব। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের আদর্শে উন্নত, সমৃদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনার সোনার বাংলা গড়ে তুলব। মহান সৃষ্টিকর্তা আমাকে শক্তি দিন।
এইখানে স্পষ্ট বুঝা যায়, হাসিনা দেশটাকে তার বাপের সম্পত্তিই মনে করতো।দেশটা হাসিনার বাপের সম্পত্তি থেকে এখন সকল নাগরীকের হয়ে উঠেছে।
এখন এই দেশের শপথ বাক্য-
আমি শপথ করিতেছি যে, মানুষের সেবায় সর্বদা নিজেকে নিয়োজিত রাখিব। দেশের প্রতি অনুগত থাকিব। দেশের একতা ও সংহতি বজায় রাখিবার জন্য সর্বদা সচেষ্ট থাকিব।
হে মহান আল্লাহ মহান সৃষ্টিকর্তা, আমাকে শক্তি দিন, আমি যেন বাংলাদেশের সেবা করিতে পারি এবং বাংলাদেশকে একটি শক্তিশালী ও আদর্শ রাষ্ট্র হিসেবে গড়িয়া তুলিতে পারি। আমিন।
No comments