Header Ads

শিক্ষকদের কেন পদত্যাগে বাধ্য করা হচ্ছে

যারা ঘুষ দিয়ে প্রতিষ্ঠানের প্রধান হয়েছে। তাদেরকে যদি শিক্ষক বলেন তাহলে বোকার স্বর্গে বাস করছেন। ফ্যাসিস্ট হাসিনার দুঃশাসনের আমলে এমন কোন প্রতিষ্ঠান প্রধান আছে, যে ঘুষ এবং দলীয় লবিং ব্যতিত তার চেয়ারে বসতে পেরেছে। এমন নজির পাওয়া যাবে বলে মনে হয় না।

শিক্ষক তো তারা যারা শিক্ষার্থীদেরকে জাতীয় সম্পদ হিসেবে গড়ে তোলার গুরু দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে দিনরাত এক করে অক্লান্ত পরিশ্রম করে। শিক্ষার্থীদেরকে নৈতিক জ্ঞান প্রদান করে। অনৈতিক কাজ থেকে বিরত থাকতে বলে। অন্যায়ের প্রতিবাদ করার সুযোগ না থাকলে সে অন্যায়কে ঘৃণা করা শেখায়।


শিক্ষকরা যেদিন ব্যাঙের মতো লাফালাফি করছে, মান সম্মান তো সেদিনই গেছে।তাদের ইজ্জৎ থাকলে, লাফালাফি করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে, চাকরী থেকে সে সময়েই বিদায় নিত।


২০২৪ সালে বছরের শুরুতে পাঠ্যক্রমের দোহাই দিয়ে, ব্যাঙের মতো লাফালাফি করার পরেও যে শিক্ষকদের সম্মান যায়নি। বছরের শেষে যদি কোন অতি উৎসাহী ব্যক্তি, চাটুকার ভন্ড জ্ঞানপাপীদের চেতনাভ্রম কাটানোর জন্য একটা চটকানা দেয়,তাহলে তাদের অপরাধ এতোটাও গুরুতর হবে না, যতটা গুরুতর অপরাধ শিক্ষকদের চাটুকারীতা করাতে হয়েছে। 


যে শিক্ষক অন্যায়কে ঘৃনা করতে শেখাতে ব্যর্থ হয়েছে, সে শিক্ষকই শিক্ষার্থীদের কাছে আজকে ঘৃনার ব্যক্তিতে পরিনত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা সেই সকল চাটুকার শিক্ষকদেরকে পদত্যাগে বাধ্য করার মাধ্যমে ঘৃনার বহিঃপ্রকাশ করছে।


আমাদের দেশে শিক্ষকদের মান সম্মান সেদিন ফিরে আসবে, যেদিন চাটুকারিতা ছেড়ে মেরুদণ্ড সোজা করে দাঁড়াতে চেষ্টা করবে। শিক্ষাদানকে একমাত্র সম্মানের স্থান মনে করে, অন্যন্য সকল প্রলভন ও চাহিদাকে উপেক্ষা করার মতো মানসিকতা তৈরী করতে সক্ষম হবে।

No comments

Theme images by Roofoo. Powered by Blogger.