নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মাতম
বর্তমানে দেশের যে অবস্থা, তার থেকে উত্তরণের জন্য আমাদেরকে অপেক্ষা করতে হবে। ঠিক কতদিন অপেক্ষা করতে হবে তা বলা সম্ভব নয়। কেননা এই দেশের এমন কোন জায়গা নাই;সেখানে সমস্যা নাই।প্রত্যেকটা জায়গাকে ধংস্ব করে ফেলা হয়েছে। এখন নতুন করে গড়ে তুলতে হলে, আমাদের তো ধৈর্য ধারণ করতেই হবে।
আমরা এখন লক্ষ্য করছি, দেশে নির্বাচনের জন্য ক্ষুধার্ত নেকড়ের মতো আচরণ প্রকাশ করার চেষ্টা করছে বি এন পি। আওয়ামী সরকার তাদের উপরে অনেক অন্যায় করেছে, এর জন্য তাদের প্রতি একটা সিমপ্যাথী কাজ করে।তবে তারাও যদি আ ও য়ামীদের মতো দেশের বারোটা বাজানোর মতো চিন্তা করে;তাহলে তো তাদের প্রতি কারো সিমপ্যাথী থাকার কথা না।তারা আ ও য়ামীদের বিপক্ষে একটা আন্দলোন গড়ে তুলতে সক্ষম হয় নি। বরং ঈদের পরে আন্দলোন হবে বলার পরে, তাদের সেই ঈদ আর আসে নি। যে দল দেশের করুণ সময়ে নিজেদের পিঠ বাঁচাতে মাঠে নামতে পারেনি। সে দলের নির্বাচন নিয়ে এতো কিসের তাড়া। তারা আসলে যা মনে করে তাহচ্ছে, এখন যদি নির্বাচন হয় তাহলে তাদের প্রতিপক্ষরা তাদের সাথে ফাইট দিতে পারবেনা। অপরদিকে যদি দেরী করে তাহলে আরো অনেক দলের প্রকাশ ঘটবে। অন্যন্য দলগুলো নিজেদেরকে বিএনপির বিপক্ষে শক্তিশালী প্রতিদন্দ্বী হিসেবে দাঁড় করাতে সক্ষম হবে।
একটা স্বাধীন দেশে নির্বাচন হবে, আর সেই নির্বাচনে কোন প্রতিদন্দ্বীতা হবে না, তাহলে সে নির্বাচনের মাধ্যমে জনগনের কি কোন উপকার হবে আশা করা যায়। যারা ক্ষমতায় আসবে তারা জনগনের কল্যাণের কথা চিন্তা করবে না এটাই স্বাভাবিক। সুতরাং প্রশ্নবিদ্ধ নির্বাচন থেকে নাগরিকদেরকে মুক্তি দিতে হবে। নির্বাচন প্রশ্নবিদ্ধ না হলে নাগরিকরা তাদের শাসক হিসেবে নিজেদের চয়েসকে নিয়ে আসতে পারবে।
দেশ যে অবস্থায় আছে, এই সময়ে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির মাতম করার কোন কারনই নাই।দেশ একটা স্ট্যাবল জায়গাতে ফিরে আসলে, তখন নির্বাচন তো এমনিতেই হয়ে যাবে। দেশের মানুষ চাইলে তারা ক্ষমতায় আসতে পারবে, আর না চাইলে ক্ষমতার বাইরে থাকবে, যে ভাবে হাসিনার আমলে ১৭ বছর ক্ষমতার বাইরে ছিলো।
No comments