দেশের ইতিহাস পরিবর্তিন হচ্ছে না, রাজনীতিবিদরা কেবল যা ইতিমধ্যে হয়ে গেছে তার পুনরাবৃত্তি করছে
মহান আল্লাহর অশেষ রহমতে হাজারো মানুষের আত্মত্যাগের বিনিময়ে স্বৈরাচার সরকারের হাত থেকে আমাদের রেহাই মিলেছে। অন্যায় আর জুলুমের স্বীকার হয়ে মানুষ রাজপথে নেমেছিলো হায়েনাদের রক্তচক্ষু উপেক্ষা করে।স্বৈরাচার এখন আমাদের নিকট অতিতের ঘটনা।
বর্তমান আমাদেরকে কিছুটা স্বস্তি দিচ্ছে। কিন্তু বর্তমানে যাদের কাছে ক্ষমতা আছে তারা যদি ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা না করে; উদাস হয়ে চলতে থাকে তাহলে মানুষের কাছে খারাপ হতে বেশি সময় লাগবে না।এই খারাপ তারা হবে না কিন্তু খারাপ ভাবে তাদেরকে দেশের মানুষের কাছে উপস্থাপন করা হবে।
স্বৈরাচারের আগে ক্ষমতায় থাকা এবং ক্ষমতার বাইরে থাকা প্রত্যেকটি দলই এখন ভবিষ্যৎ চিন্তা করে তাদের কর্মসূচী হাতে নিয়ে সে অনুযায়ী কাজ করছে। এই দল গুলোর কাজ করার একটা স্টাইল আছে।এরা ক্ষমতার জন্য যা ইচ্ছা করতে পারে।
ভালো মানুষের কদর সবার কাছেই থাকে। কিন্তু ভালো মানুষ তাদের উপরে খবরদারী করুক এটা কেউই চায় না। এদের মধ্যে কেউ কেউ ভালো মানুষকে ক্ষমতায় দেখতে চাইলেও কিছুদিন অতিবাহীত হওয়ার পরে বুঝতে পারে, ভালো মানুষ শুধু নিজে নয়, সবাইকে ভালো হতে আহ্বান করে।ভালো মানুষের হাতে ক্ষমতা থাকলে ভবিষ্যত্ পরিবেশ সবাইকে ভালো হতে বাধ্য করবে।
ক্ষমতার লোভ যাদের আছে তারা কিভাবে ভালো মানুষ হতে পারে এটাই দল গুলোকে প্রশ্নবানে কুঠার আঘাতে বিপর্যস্ত করে তুলে। তারা দলের মধ্যে দুই একজন ব্যতীত আর কাউকেই ভালো মানুষ মনে করতে পারে না। কেন না যাকে ভালো মানুষ মনে করবে সে নিজেই অন্যায় কাজে জড়িত হয়ে প্রমান করে,সে ভালো মানুষ নয়।এবং তাকে ক্ষমতার চেয়ার থেকে যেন দুরে সরানো না হয়।তারা দলের প্রয়োজনে নিত্যদিন লা শ ফেলতেও রাজি আছে।এই হচ্ছে ক্ষমতার লোভে পাগল দল গুলোর নেতৃত্বের অবস্থা।
আর স্বৈরাচার নাই একথা বলা সম্ভব না। স্বৈরাচাররা শুধুমাত্র তাদের চেয়ারটা হারিয়েছে এককথায় তাদের ইউনিটি হারিয়েছে। কিন্তু তাদের চররা তো সারা দেশের আনাচে কানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে। এরা নিত্যদিন তাদের অন্তরে মুজিবের চেতনাকে ধারণ করে স্বপ্ন দেখে আবার অন্যায়ের শাষন এইদেশে ফিরিয়ে আনবে।
ক্ষমতার কেন্দ্রে যাওয়ার মন লালসা যাদের আছে তারা দেশ ভালোভাবে চলুক এটাই চাই না। তাহলে বর্তমানে যারা ক্ষমতায় আছে তাদেরকে নামানো ছাড়া তাদের আর কোন এজেন্ডা থাকার কথা না।
এখন যারা ক্ষমতায় আছে তাদেরকে তো সাংবিধানিক নিয়মে ক্ষমতা পরিচালিত করতে হবে, কিন্তু ক্ষমতা লোভী দলগুলো তাদের কাজ গুলোকে অসাংবিধানিক হিসেবে মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার সর্বচ্চ চেষ্টা করবে। এবং এই কাজটা তারা যেকোন মূল্যেই করে ছাড়বে। এক কথাই অনর্বর্তীকালীন সরকারকে অগ্রহন যোগ্য করতে সাধারণ মানুষের মধ্যে তাদেরকে নিয়ে ঘৃণার রাজনীতির খেলাটা খুব সুচারু রুপে খেলবে।
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান নিয়োগ দাতা কিন্তু বৈষম্যবিরোধী ছাত্ররা। সুতরাং সরকারকে অগ্রহণযোগ্য করতে; প্রথমেই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের নেতৃত্বকে ভেঙ্গে দেয়ার কাজটি তারা করবে। ক্ষমতা লোভীরা এরপরেই ক্ষমতা ভাগাভাগি করে সরকার গঠন করবে। আর দেশের অবস্থা দেশের মানুষে আশা আকাঙ্খাকে মাটিতে পুঁতে ফেলবে, যেভাবে ৭১ থেকে দেশ ধ্বংস হচ্ছে, সেই ধ্বংসের রাজনীতি থেকে দেশের মানুষের মু্ক্তি আর মিলবে না।
এই দেশের অতীত অন্যায়ের ইতিহাস গুলোর সাথে বর্তমান ইতিহাস যুক্ত হতেই থাকবে এভাবে ভবিষ্যৎ ইতিহাস গুলোও যুক্ত হতে থাকবে।আমরা অতীত থেকে শিক্ষা গ্রহণ কোনদিনই করবো না।ভবিষ্যৎ অন্ধকার হয়েই থাকবে।
No comments