Header Ads

গোলাম আযম পুত্র ব্রিগেডিয়ার আযমী

একটা মানুষ আট বছর পৃথিবী থেকে বিচ্ছিন্ন ছিলো। এর মানে বুঝেন, এর মানে হচ্ছে সে বেঁচে থেকেও মৃত আত্মাতে পরিনত হয়েছিল।

আর আপনি তার গামছা নিয়ে ট্রোল করছেন। কতটা উন্মাদ হলে ট্রোল করা যায় এবং বালা যায় তাকে আয়নাঘরে বন্দি রাখাটা ঠিকই ছিলো।ঘোর শত্রুর জন্যেও মানুষ(যার বোধ শক্তি আছে) এতোটা জঘন্য চিন্তা করতে পারে না।

এতগুলো বছর বন্দী জীবন কাটানোর পরে আমাদের সামনে এসে, সে যদি কান্না করে শুধুমাত্র কষ্টের কথা গুলো তুলে ধরতো তাহলে তাকে আমরাই জাতীয় বীরের মর্যাদা দেয়ার কথা বলতাম(কেননা সে সেনাবাহিনীর চৌকস অফিসার ছিলো)।তাকে নিয়ে হৃদয় বেদারক পোষ্ট দিয়ে সামাজিক মাধ্যম জ্যাম করে ফেলতাম। কিন্তু না তিনি আসলেন, খুব স্বাভাবিকভাবে শক্ত গলায় কথা বললেন।

তার কথা গুলো বেশ গোছালো ছিলো। তিনি তার কথা সিকুয়েন্স মেইন্টেইন্ড করে তুলে ধরেছেন। তার কথা বলার ধরণ থেকে আঁচ করা যায়, সেনাবাহিনীতে তিনি কতটা যোগ্য অফিসার ছিলেন।

মুক্তি যুদ্ধে যারা তাদের আত্মত্যাগ করে দেশের স্বাধীনতা অর্জনে ভূমিকা রেখছিলেন তাদের সংখ্যা কত তা বলা সম্ভব না। তবে একটা আনুমানিক হিসেব কা সম্ভব তাতে কোন সন্দেহ নেই। কিন্তু সংখ্যাটা যখন বলা হয় ত্রিশ লক্ষ তখন মানুষ এটা নিয়ে কথা বলবে তা খুবই স্বাভাবিক।

অথচো তার কথার সত্যতা নেই বলতে না পেরে তারা মনের মধ্যে বেদনা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশে ব্যস্ত হয়ে পরেছে। ক্ষোভ প্রকাশ করতে গিয়ে আয়নাঘরকে তারা মামাবাড়ির লুকনোর ঘর মনে করেছে। এমনটা মনে না করলে, অনেককেই বলতে দেখছি, তাকে আয়নাঘরে আবার নিয়ে যাওয়া উচিত্।

No comments

Theme images by Roofoo. Powered by Blogger.